স্বদেশ ডেস্ক;
ফেনীর ছয়টি উপজেলায় প্রায় ১৩৯টি পশুর হাট বসেছে। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত প্রচুর বড় গরু উঠলেও এখনো ক্রেতাশূন্য হাটগুলো। এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই ভোগান্তিতে পড়েছেন। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আয়তনের দিক থেকে পার্শ্ববর্তী জেলার তুলনায় ফেনী ছোট জেলা হলেও বাজারে উঠেছে বড় বড় গরু।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও সদর হাসপাতাল মোড়ের পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, একেকটি গরুর দাম ১০-১৫ লাখ টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে। এসব গরু দেখতে মানুষের ভিড় থাকলেও ক্রেতা খুবই কম। গরু ব্যবসায়ী মো. আবুল কালাম জানান, তিনি তার গরুটির নাম রেখেছেন সুলতান। দাম হাঁকছেন ১২ লাখ টাকা।
কয়েকজন বিক্রেতা জানান, হাতে এখনো সময় থাকায় ক্রেতারা বাজারদর দেখছেন। গত বছর শেষের দিকে গরুর দাম কম থাকায় অনেকে এ বছর শেষের দিকে গরু কিনতে আগ্রহী।
আর ক্রেতারা জানান, বিক্রেতারা এখন গরুর দাম বেশি হাঁকাচ্ছেন। সেজন্য কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন না ক্রেতারা। তবে মানুষ বিদেশি গরুর থেকে দেশি গরু কিনতে বেশি পছন্দ করছে।
ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী বলেছেন, গরুর বাজারে কেউ চাঁদাবাজি করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। কোরবানির পশুবাহী গাড়ির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকলে পুলিশ সদস্যদের গাড়ি না থামানোর নির্দেশনা রয়েছে। আসন্ন ঈদে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যেন নিরাপদে থাকে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও কমিউনিটি পুলিশ সমন্বয় করে কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, বেশি টাকা বহন করতে হলে পুলিশকে জানাবেন, পুলিশ পাহারায় গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হবে।